ক্যারিয়ার গাইডলাইন

স্টিভ জবসের ১১ খুব গুরুত্বপূর্ন উপদেশ বা পরামর্শ

১. আপনি সামনে দেখতে পাওয়া ডটগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ঘটাতে পারবেন না, যেটা আপনি পারবেন আপনার পেছনের ডটগুলোর মধ্যে। তাই আপনাকে বিশ্বাস রাখতে হবে সামনে দেখতে পাওয়া সুযোগগুলো কোন না কোন ভাবে আপনার জন্য ভবিষ্যতের সুযোগ সৃষ্টি করবে। আর আপনাকে বিশ্বাস রাখতে হবে আপনার যা আছে তার উপর অর্থাৎ আপনার জীবন, আপনার লক্ষ্য এবং আপনার কার্যক্ষমতার উপর।

২. ক্রিয়েটিভিটি হলো শুধুমাত্র যোগসূত্র স্থাপন করা। আপনি যখন কোন ক্রিয়েটিভ মানুষের কাছে জানতে চান তারা কিভাবে এত কিছু করেছে, তারা কিছুটা হলেও অপরাধ বোধ করে, কারন তারা সত্যিকার অর্থেই কোন কিছু করেনি, তারা শুধুমাত্র কোন কিছু দেখতে পেয়েছিল। যেটা পরবর্তীতে তাদের জন্য অবশ্যই করণীয় কাজ হয়ে দাড়িয়েছিল।

৩. এক সময় আমাকে মরতে হবে এটাই আমাকে সবচেয়ে বেশী সহায়তা করেছে হেরে যাবার ভয় কে অনায়াসে পাশ কাটাতে, কারন আমার নতুন কিছু হারাবার নেই, আমি তো হেরেই আছি। অতএব হৃদয়ের কথা না শোনার কোন কারণ দেখি না।

৪. আপনার মন আপনার জীবনের বৃহত্তম অংশ দখল করে থাকে, আপনি মন থেকে যে কাজকে ভালো বলে বিশ্বাস করতে পারেন্ তাই করুন আপনি সন্তুষ্ট হতে পারবেন। আর ভালো কাজ তখনই করতে পারবেন যে কাজকে আপনি ভালবাসেন। যদি এখনও পর্যন্ত সে কাজের খোঁজ না পেয়ে থাকেন, খুজঁতে থাকুন, যখন পাবেন আপনার মনই বলে দেবে যে এ কাজটিকেই আপনি খুঁজছিলেন।

৫. অনেক ধনী মানুষ হয়ে কবরে শুয়ে থাকাটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় মনে হয় না, তার চেয়ে প্রতিরাতে ঘুমাতে যাবার আগে ”আমি দারুন কিছু করেছি” এটা বলতে পারাটা আমার কাছে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ন।

৬. আমি যা সব কিছু করেছি এবং যা কিছু করিনি তার জন্যে সমানভাবে গর্বিত বোধ করি। কারন হাজার কিছুকে না বলতে পারাটাই হলো ইনোভেশন।

৭. অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুত হওয়াটা ছিল আমার জীবনের ভালো ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। কারন এর মাধ্যমে সাফল্যে ভারী হয়ে যাওয়ার চেয়ে নতুনভাবে শুরু করার জন্য আমি আলোকিত হতে পেরেছিলাম। এই চাকরিচ্যুতি স্বাধীনভাবে আমাকে আমার জীবনের সবেচেয়ে ক্রিয়েটিভ সময়ে প্রবেশ করতে সহায়তা করেছে।

৮. “আমি এই মহাবিশ্বে নিজের একটি কর্ম রেখে যেতে চাই।”

৯. আমার ১৭ বছর বয়সে পড়া একটি বাক্য ছিল “তুমি সবসময় জীবনের সঠিক কাজটি করতে পারবে,যদি ভেবে নাও যে আজকের দিনটাই তোমার জীবনের শেষ দিন।” যা আমাকে ভীষনভাবে আলোড়িত করেছিল, যা তখন থেকে আমাকে গত ৩৩ বছর ধরে সমানভাবে আলোড়িত করেছে, আমি প্রতি সকালে আয়নায় তাকিয়ে ভাবি, “আজ যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো, তবে আজ যা করবো ঠিক করেছি তাই কি আজও করতাম?”

১০. কাষ্টমার কি চায়, কাষ্টমারকে জিজ্ঞেস করে তারপর তৈরি করে আপনি তাদের সেটা দিতে পারবেন না। কারন আপনি তা বানানের জন্য যে সময় নিবেন তারমধ্যে কাষ্টমারের রুচি বদলে গেছে তারা নতুন কিছু চাইতে শুরু করেছে।

১১. আপনার জীবনের সময় নির্দিষ্ট, তাই অন্যকারোর জীবন যাপন করতে যেয়ে সেটা নষ্ট করবেন না। অন্য মানুষদের ধারনা এবং মতামতের ফাঁদে পা দিয়ে আপনার নিজের ভেতরের আহবান কে অবহেলা করবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button