১ থেকে ১১ নম্বর সহ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সকল বিপদ সংকেত সমূহ

সমুদ্র বন্দরের জন্য সংকেত সমূহ :
১. নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত :- এর অর্থ বঙ্গোপসাগরের কোনো একটা অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বইছে এবং সেখানে ঝড় সৃষ্টি হতে পারে-(একটি লাল পতাকা)।
২. নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত :- সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে।
৩. নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত :- এর অর্থ বন্দর দমকা হাওয়ার সম্মুখীন-(দুইটি লাল পতাকা)।
৪. নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত :- এর অর্থ বন্দর ঝড়ের সম্মুখীন হচ্ছে, তবে বিপদের আশঙ্কা এমন নয় যে চরম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. নম্বর বিপদ সংকেত :- এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে-(মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)।
৬. নম্বর বিপদ সংকেত :- এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঝড় হবে এবং আবহাওয়া দুযোগপূর্ণ থাকবে। ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে-(মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)।
৭. নম্বর বিপদ সংকেত :- এর অর্থ অল্প অথবা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড় হবে এবং এজন্য আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে-(তিনটি লাল পতাকা)।
৮. নং মহাবিপদ সংকেত :- এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হবে এবং বন্দরের আবহাওয়া খুবই দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে-(মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)।
৯. নম্বর মহাবিপদ সংকেত :- এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে-(মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)।
১০. নম্বর মহাবিপদ সংকেত :- এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঘূর্ণিঝড়টির বন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
নদী বন্দরের জন্য সংকেত সমূহ:
১-নং নৌ সতর্ক সংকেত:
বন্দর এলাকা ক্ষণস্থায়ী ঝড়ো আবহাওয়ার কবলে নিপতিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিঃমিঃ গতিবেগের কালবৈশাখী ক্ষেত্রেও এই সংকেত প্রদর্শিত হয়। এই সংকেত আবহাওয়ার চলতি অবস্থার উপর সতর্ক নজর রাখারও তাগিদ দেয়।
২-নং নৌ হুঁশিয়ারী সংকেত:
বন্দর এলাকা নিম্নচাপের সমত’ল্য তীব্রতার একটি ঝড় যার গতিবেগ ঘন্টায় অনুর্দ্ধ ৬১ কিঃমিঃ বা একটি কালবৈশাখী ঝড়, যার বাতাসের গতিবেগ ৬১ কিঃমিঃ বা তদুর্দ্ধ। নৌ-যান এদের যে কোনটির কবলে নিপতিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬৫ ফুট বা তার কম দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট নৌ-যানকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে।
৩-নং নৌ- বিপদ সংকেত:
বন্দর এলাকা ঝড়ে কবলিত। ঘন্টায় সর্বোচ্চ একটানা ৬২-৮৮ কিঃমিঃ পর্যন্ত গতিবেগের একটি সামূদ্রিক ঝড় সহসাই বন্দর এলাকায় আঘাত হানতে পারে। সকল প্রকার নৌ-যানকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে।
৪নং নৌ-মহাবিপদ সংকেত:
বন্দর এলাকা একটি প্রচন্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার সামূদ্রিক ঝড়ে কবলিত এবং সহসাই বন্দর এলাকায় আঘাত হানবে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কিঃমিঃ বা তদুর্দ্ধ। সকল প্রকার নৌ-যানকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে।
১১. নম্বর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার সংকেত :- এর অর্থ ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সাথে সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এবং স্থানীয় অধিকর্তার বিবেচনায় চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নম্বর গতিবেগ ঘণ্টায়ঃ
১। ১ নম্বর দূরবর্তী সঙ্কেত – গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিমি
২। ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত -গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিমি
৩। ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত -গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি
৪। ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সঙ্কেত – গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার।
৫। ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত -গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার।
৬। ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত -গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার।
৭। ।৭ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত মানে বন্দর ছোট ও মাঝারি সামুদ্রিক ঝড়ে কবলিত – গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার।
৮। ৮ নম্বর হলো মহাবিপদ সঙ্কেত -গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার বেশি হতে পারে
৯। ৯ নম্বর হলো মহাবিপদ সঙ্কেত -১১৮ থেকে ১৭০ বেগে হারিকেনের তীব্রতা সম্পন্ন প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিরাজ করবে।
১০। ১০ নম্বর হলো মহাবিপদ সঙ্কেত-গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭১ কিলোমিটার বা তার বেশি হবে।
১১। ১১ নম্বর হলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সঙ্কেত- আবহাওয়ার বিপদ সঙ্কেত দেওয়া কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।